Monday, December 23, 2024
Homeবাঙালির ইতিহাসকাদম্বিনী গাঙ্গুলির সংগ্রাম ও সাফল্য: এক নারীর ডাক্তার হওয়ার লড়াই

কাদম্বিনী গাঙ্গুলির সংগ্রাম ও সাফল্য: এক নারীর ডাক্তার হওয়ার লড়াই

ডাক্তার কাদম্বিনী গাঙ্গুলির দুর্ভাগ্য যোগ্যতা থাকা সত্বেও তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রথম মহিলা ছাত্রী হয়েও এম ডি হতে পারেন নি,আরও সহজ ভাবে বললে তাঁকে চিকিৎসকের ডিগ্রি অর্জন করতে দেওয়া হয়ত হয়নি! কারণ তিনি নারী, আর নারীশিক্ষার বিরোধীরা তখন সমাজের নানা স্তরের মাথা হয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন৷

১৮৭৯সালে কাদম্বিনী গাঙ্গুলি ও চন্দ্রমুখী বসু উভয়েই এফএ পাশ করলেন, কাদম্বিনী করলেন বেথুন থেকে,অপরদিকে চন্দ্রমুখী বসু কলকাতার ফ্রি চার্চ নর্মাল স্কুল থেকে তাদের যুগ্ম সাফল্য বেথুন কলেজে বিএ পড়ানোর দরজা খুলে দেয়। চন্দ্রমুখী নিলেন পলিটিক্যাল ইকনমি আর কাদম্বিনী গণিত। ১৮৮৩ সালের জানুয়ারিতে ইতিহাস গড়ে দু’জনে বিএ পাশ করলেন। দেশের প্রথম দুই মহিলা গ্র্যাজুয়েট। স্ত্রীশিক্ষা বিশেষ করে মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উপরে চাপা পড়া জগদ্দল পাথর নড়ে গেল,সমাবর্তন উৎসবে অভূতপূর্ব জনসমাগম,কারণ সবাই চাইছিলেন বিদুষী শিক্ষিত দুই নারীকে দেখবেন৷সবাই যে উৎসাহ নিয়ে তাদের অভিনন্দন জানাতে এসেছিলেন এমন নয়,অনেক রক্ষণশীল মানুষ এসেছিলেন দুই নারীর স্নাতক উপাধি নেওয়া ভণ্ডুল করতে৷ যদিও শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। চন্দ্রমুখী এম.এ পড়তে গেলেন৷

কাদম্বনীর মনের ইচ্ছা তিনি ডাক্তার হবেন৷ সমাজে তখনও মহিলা ডাক্তার ধারনাটা অলীক, অবাস্তব ও হাস্যকর বিষয়৷ দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা বলতেই হয়। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা আহামরী ছিল না, এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অকৃতকার্য, প্রায় কাদম্বিনীর বয়সের মেয়ে আছে, তবু একুশ পেরোনা বিদুষী কাদম্বিনী কেন বিপত্নীক বয়স্ক দ্বারকানাথকে বিয়ে করলেন!’রেইস এন্ড রায়ত’ নামের ইংরেজি কাগজের সম্পাদক শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় লিখলেন, ভবিষ্যতে কন্যাটি যেন সিদ্ধান্তের জন্য আপশোষ না করে৷ সমসাময়িক বিদ্বজ্জনদের আশংকা অমূলক প্রমাণ করল কাদম্বিনীও দ্বারকানাথের দাম্পত্য জীবন৷দাম্পত্যের ভিত্তিতে ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ,সাম্য,সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব৷

স্ত্রীর উচ্চশিক্ষা,ডাক্তারি পড়া,পেশাগত জগতে যোগ্য মর্যাদার অন্বেষণে সর্বদা দ্বারকানাথ পূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ ডাক্তারি পড়ার জন্য কাদম্বিনী আবেদন করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে, আবেদন মঞ্জুর হয়নি, ওদিকে ডাক্তারি পড়ার অনুমতি না পেয়ে মাদ্রাজ মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়তে চলে গিয়েছেন দুর্গামোহন দাশের মেয়ে অবলা(পরে বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর স্ত্রী লেডি অবলা বোস) ৷

সরকারি শিক্ষা দপ্তর মেয়েদের ডাক্তারি পড়ার বিষয় উৎসাহ দেখালেও ঘোর আপত্তি মেডিক্যাল কাউন্সিলের। মাঝে অবশ্য অনেক লড়াই বিবাদ, বিতর্ক আন্দোলন চললেও ২৯জুন ১৮৮৩ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত সরকারি ভাবে নাকচ করে কাদম্বিনীকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়৷ বহু প্রতিরোধের দেয়াল অতিক্রম ও রক্ষণশীল সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত কাদম্বিনী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেন মূলত সেসময় বাংলার লেফটন্যান্ট গর্ভনর রিভার্স টমসনের আগ্রহ ও ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের কারণে।

কুড়ি টাকা মাসিক স্কলারশিপ পেয়ে মেডিকেল কলেজে একজন নারীর চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষা সবাই মেনে নিলেও বিলেতে শিক্ষাপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবার বাঙালি ডাঃ রাজেন্দ্র চন্দ্র মানতে পারলেন না৷ আপত্তি জানালেন কলকাতার অভিজাত সমাজের ভদ্রলোকেরাও৷

খবরের কাগজগুলো লাফিয়ে উঠল, শুরু হল বিরোধী প্রচার, প্রশ্ন তোলা হল মেয়েরা কিভাবে নাইট ডিউটি করবে,পুরুষ শিক্ষকরা কিভাবে মহিলা ছাত্রীদের সামনে অ্যানাটমির ক্লাস নেবে, গর্ভাবস্থায় মেয়েরা কিভাবে ক্লাসে উপস্থিত হবে, গর্ভাবস্থায় কিভাবে তারা রোগীদের দেখবে, সুখের বিষয় এসব প্রশ্নেও কাদম্বিনীর মনোবলে সামান্য চিড় ধরেনি৷ তিনি যে ইস্পাতকঠিন দৃঢ় মানসিকতা মানুষ, শাড়ি পরে মেডিক্যাল কলেজে যেতেন,পাঠক্রমের প্রথম তিন বছরে ফার্স্ট এম বি,দু’বছর পর ফাইনাল এমবি৷

ফার্স্ট এম বি পরীক্ষায় কাদম্বিনী দক্ষতার পরিচয় দিলেও যথাযথ নম্বর পেলেন না৷ বিশেষত মেডিসিনের পেপারে৷ এই বিষয়টি পড়াতেন ডাঃ রাজেন্দ্র চন্দ্র৷ মৌখিক পরীক্ষায় এক নম্বরের জন্য তিনি পাশ করলেন না৷ মেডিকেল কলেজের রক্ষণশীল বাঙালি অধ্যাপক ডাঃ রাজেন্দ্র চন্দ্র যিনি গোড়া থেকেই কাদম্বিনীর ডাক্তারি পড়ার বিষয়ে খোলাখুলি প্রতিবাদ করেছিলেন, তিনি কাদম্বিনীকে পরীক্ষায় পাশের জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর দেননি বলে অভিযোগ।কাদম্বিনীকে এক নম্বর কম দিয়ে পাশ না করানোর বিষয়টি নিয়ে সেনেটের বৈঠকে তখন যে আলোচনা হয়েছিল, তার দালিলিক প্রমাণও রয়েছে বলে বেশ কিছু গবেষকের দাবি৷

ডাক্তার জে এম কোটস যিনি তখন ছিলেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং মেডিসিনের অধ্যাপক, বুঝেছিলেন যে, কাদম্বিনীর সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে। তার উদ্যোগে সিন্ডিকেটে আলোচনার মাধ্যমে কাদম্বিনীকে ‘লাইসেনসিয়েট ইন মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি’ বা এলএমএসের সার্টিফিকেট দেওয়া হয় ১৮৮৬ সালে।
কিন্তু দু’বছর এলএমএস পড়ার পরে ফাইনালে ফের কাদম্বিনীকে অকৃতকার্য দেখানো হয়৷ আগেই সবটা বুঝতে পেরেছিলেন ডাঃ কোটস,তিনি প্রিন্সিপালের বিশেষ ক্ষমতা বলে কাদম্বিনী গাঙ্গুলিকে GBMC (গ্রাজুয়েট অফ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ) উপাধি দিলেন৷ এর ফলে তিনি প্রাকটিসের অনুমতি পেলেন, কিন্তু কাদম্বনীর দুর্ভাগ্য,যোগ্যতা থাকা সত্বেও তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম মহিলা ছাত্রী হয়েও এম বি হতে পারলেন না,আরও সোজা কথা সহজ ভাবে বললে তাঁকে ডিগ্রি অর্জন করতে দেওয়া হয়নি,তাঁর একমাত্র কারন তিনি নারী,হয়ত অধ্যাপক ডাঃ রাজেন্দ্র চন্দ্র যিনি গোড়া থেকেই কাদম্বিনীর ডাক্তারি পড়ার বিষয়ে খোলাখুলি প্রতিবাদ করেছিলেন, তিনি কাদম্বিনীকে পরীক্ষা পাশের জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর দেননি! কাদম্বিনী অবশ্য এম বি ডিগ্রি লাভের জন্য আর পরীক্ষায় বসেন নি৷

ততদিনে তিনি ৪৫/৫বেনিয়াটোলা লেনে চেম্বার খুলে বসেছেন৷ শুরুর দিকে পসার তেমন জমেনি সেটা বোঝা যায় এক বছর ধরে ‘বেঙ্গলি’ কাগজে তাঁর পেশাগত যোগ্যতা বিষয়ে তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন৷ কাদম্বিনী তখনও ফাইনাল এলএমএস পরীক্ষায় বসেন নি,তখন তাঁর সম্পর্কে উৎসাহিত হয়ে উঠলেন বিখ্যাত মহিয়সী নারী লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ব্যারিস্টার মনমোনহন ঘোষকে চিঠিতে লিখলেন ‘তুমি কি আমায় মিসেস গাঙ্গুলি সম্পর্কে কিছু জানাতে পারো?শুনেছি ইতিমধ্যে তিনি ফার্স্ট এলএমএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ফাইনাল পরীক্ষায় বসবেন৷বিবাহিতা,একটি কি দুটি শিশু সন্তান আছে,মাত্র ১৩দিন ক্লাসে অনুপস্থিত ছিলেন৷ এর আগে অবশ্য ডাঃ কোটস তাঁকে ইডেন হাসপাতালে কাজের সুযোগ দিয়েছিলেন মর্যাদা ওই ধাত্রীর সমতুল৷ডাফরিনে কাজ করতে এসেও অভিজ্ঞতা মধুর হল না৷সেখানে ইউরোপীয় মহিলাদের আধিক্য,বাঙালি মহিলা ডাক্তারের অধীনে কাজ করতে হবে,তাঁরা নিজেদের জমি হারাবেন,অতএব আয়া অথবা ধাত্রীর মত কাজ করো!

বস্তুত ওই হাসপাতালে মেমসাহেব ডাক্তারদের অনেকেই পাশ করা ডাক্তার না হলেও বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছিলেন৷এই অসাম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তোলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বেঙ্গলি’পত্রিকা৷কাদম্বিনী অনেক প্রতিবাদ করেছেন,কলম ধরেছেন তবু তেমন কিছু সুরাহা হল না৷ক্রমেই তিনি অনুধাবন করলেন পরাধীন দেশের মহিলা চিকিৎসক কে উৎকর্ষ দেখাতে হলে বিদেশের ডিগ্রি আনতে হবে৷

১৮৯৩ সাল,২৬ফেব্রুয়ারি সন্ধায় একা পাড়ি দিলেন বিদেশে,দেশে ফেলে গেলেন সন্তানদের,দিনটি ছিল রবিবার,সম্ভবত ২২/২৩মার্চ লন্ডনে পৌঁছলেন৷ কুড়ি দিন পর রয়্যাল কলেজ অফ সার্জেনস, এডিনবরাতে ট্রিপল ডিপ্লোমা কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষার বসার ফর্ম ভরে ফেললেন৷ ১৮৮৬সালে ট্রিপল ডিপ্লোমা দেবার অধিকার মেয়েরা পেয়েছেন। গাঙ্গুলিকে পরীক্ষা দিতে হয় সার্জারি,মেডিসিন,সার্জিক্যাল-অ্যানাটমি সহ আরও কয়েকটি বিষয়ে৷ যে কাদম্বিনী নিজের দেশে এম বি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন (আসলে বোধহয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল)তিনি ট্রিপল ডিপ্লোমার পরীক্ষায় সপ্তম স্থান অধিকার করলেন৷স্কটিশ কলেজের ট্রাইপস হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন৷

মা বিদেশে থেকে ডাক্তারির বড় ডিগ্রি নিয়ে ফিরেছেন,অথচ ছোট ছেলেটি নিজের মাকে চিনতেই পারল না৷ ‘জংলু’কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে যাকে তিনি রেখে গিয়েছিলেন দ্বারকানাথের প্রথম পক্ষের কন্যা বিধুমুখীর কাছে৷ স্নিগ্ধ-মধুর সম্পর্ক ছিল কাদম্বিনীর সঙ্গে বিধুমুখীর,বিদেশে পড়তে যাওয়ার সময় তাঁর কাছে রেখে যান চার সন্তান কে৷ ‘জংলু’তাঁর মা বিদেশ থেকে ফেরার পর চিনতে পারে নি, এজন্য কাদম্বিনী খুব কেঁদেছিলেন লিখেছেন সুকুমার রায়ের খুড়তুতো বোন এবং সত্যজিৎ রায়ের পিসি লীলা মজুমদার৷ কিছু অভিনন্দন,আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে উৎসব এসব হলেও এত ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে শুধুমাত্র ক্যামবেল মেডিকেল স্কুলের ছাত্রীদের স্ত্রী-রোগ সম্পর্কে পড়ানোর জন্য তাঁকে আমন্ত্রন করা হল৷ সেই প্রথম চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষকতা করার জন্য নারী চিকিৎসককে নিয়োগ করা হল৷

অবশ্য সরকারি চাকরিতে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন,বিলেতের ডিগ্রি থেকেও বাঙালি নারী ডাক্তার বলে তিনি একজন যথার্থ চিকিৎসক হিসেবে না পেরেছেন সরকারি সঠিক পদমর্যাদার সাথে হাসপাতালে কাজ করতে,না পারছিলেন ব্যক্তিগত পসার জমাতে৷তবে পালাবদল ঘটল নেপালের রাজা জঙ বাহাদুরের মা গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় নারী চিকিৎসক দরকার৷ কাঠমান্ডুর রাজপ্রাসাদে মুমূর্ষ রাজমাতাকে সুস্থ করলেন কাদম্বিনী,কৃতজ্ঞ রাজ পরিবার মহিলা ধন্বন্তরী ডাক্তারকে অনেক পুরস্কারের সাথে দিল পাহাড়ি ঘোড়া,কাদম্বনীর ফিটন গাড়িটি সেই টানত৷ ডাক আসতে লাগল কলকাতার রক্ষণশীল বনেদী পরিবারের অন্তঃপুরের নারী রোগীদের চিকিৎসার জন্য,সবকিছু যেন বদলে যেতে লাগল কাদম্বিনীর জীবনে৷

তাঁর বিষয়ে গবেষক নারায়ণ দত্ত স্মরণ করেছেন এক মহিলার পেটে টিউমার হয়েছে বলে একাধিক স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানালেন,তখন অন্তঃপুরের নারীদের অনুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার মত সামাজিক স্বীকৃতি অথবা সাহস পুরুষ চিকিৎসকদের ছিল না,কাদম্বিনী সেই মহিলাকে দেখে প্রত্যয়ী কণ্ঠে বললেন ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি উনি গর্ভবতী’৷ পরে তাঁর অধীনে চিকিৎসা করিয়ে সেই মহিলা একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন৷

জীবদ্দশায় কাদম্বিনীকে দেখার জন্য রাস্তায় লোকে ভিড় করত৷ স্ত্রীর উচ্চশিক্ষা,ডাক্তারি পড়া,পেশাগত জগতে যোগ্য মর্যাদার অন্বেষণে সর্বদা দ্বারকানাথ পূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন,রক্ষণশীল সমাজের প্রতিনিধি (বঙ্গবাসী/ বঙ্গনিবাসী)পত্রিকা স্বাধীনচেতা নারী চিকিৎসক কাদম্বিনী গাঙ্গুলির চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে,সম্পাদক মহেশচন্দ্র পালের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন দ্বারকানাথ,সহযোগিতা করলেন কিংবদন্তি ডাঃ নীলরতন সরকার৷ মামলায় দ্বারকানাথ জয়ী হলেন,সম্পাদক মহাশয়ের ৬মাস কারাবাস সহ ১০০ টাকা জরিমানা হল৷

সত্যি কথা বলতে কি হয়ত যদি দ্বারকানাথের সাথে কাদম্বিনীর দেখা না হত হয়ত মেধাবী কন্যার জীবন অন্য খাতে বয়ে যেত! নিজের জীবনের সবটুকু উজাড় করে দ্বারকানাথ গাঙ্গুলি প্রমান করে দিয়েছিলেন তিনি কাদম্বিনীর প্রকৃত বন্ধু,শুভাকাঙ্ক্ষী,তাঁর যোগ্য মর্যাদা দিয়ে সমাজের তীর্যক দৃষ্টি উপেক্ষা করে দ্বারকানাথ কে স্বেচ্ছায় বরণ করে জীবনের পথ চলা শুরু করেছিলেন৷

গ্রন্থঋণ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়,কৃষ্ণা রায়৷

সম্পূর্ণ লেখাটি ‘ধ্রুবতারাদের খোঁজে’ ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে। সংকলক অরুণাভ সেন।

shoptodina.com
shoptodina.comhttps://shoptodina.com
সপ্তডিঙা। কথাটা শুনলেই মনে আসে বাঙালির সমুদ্রবাণিজ্যের এক গৌরবময় ইতিহাস। গৌড়ের বণিকরা সাতটি বিশাল নৌকার এই সমবায় নিয়ে সিংহল, যবদ্বীপ, সুমাত্রা, চীন, রোম, গ্রীস, ক্রীট, মধ্যপ্রাচ্যের সাথে বাণিজ্য করে ফিরে আসতেন স্বর্ণমুদ্রার ভাণ্ডার নিয়ে। সপ্তডিঙা তাই বাঙালির সংস্কৃতি, ইতিহাস ও অর্থনীতির অভিজ্ঞান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Advertisingspot_img

Popular posts

My favorites