নিজের জাতির ভালোমন্দের কথা চিন্তা করা, তার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করা, জাতির উন্নতির জন্য নানান উদ্যোগে নিজেকে জড়ানো, যদি প্রাদেশিকতা হয় তবে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় তাই ছিলেন। লিখেছেন- জয়ন্ত মুখার্জী
ইতিহাসের কি বিচিত্র সমাপতন! একই বছরে তিন মাসের ব্যবধানে জন্ম গ্রহণ করলেন বাঙ্গালির দুই দিকপাল। একজন বাংলার সাহিত্যাকাশের সূর্য। অন্য জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, পরোপকারী সমাজসেবী। যিনি পরে আবিষ্কার করবেন পারদের এক নতুন যৌগ, লিখবেন ভারতীয় রসায়ন শাস্ত্রের ইতিহাস – ‘A History of Hindu Chemistry’. প্রকৃতি বোধ হয় এই ভাবেই ভারসাম্য রক্ষা করেন!
তা এতে এতো আশ্চর্য হওয়ার কি আছে? আছে। আছে দুজনের দুই সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। একজন বিশ্বপ্রেমিক, বিশ্বমানব। যাঁর বিখ্যাত উক্তি – ‘রেখেছ বাঙালি করে …’ কারণে আকারণে না আওড়ালে আপামর বাঙালির ভাত হজম হয় না। অন্যজন মানবদরদী জাতীয়তাবাদী। ঠিক করে বললে বাঙালি জাতীয়তাবাদী। ছিঃ! ছিঃ! আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্রের মত ব্যক্তিত্ব বাঙালি জাতীয়তাবাদী ! প্রাদেশিক ?! তা বটে। নিজের জাতির ভালোমন্দের কথা চিন্তা করা, তার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করা, জাতির উন্নতির জন্য নানান উদ্যোগে নিজেকে জড়ানো, যদি প্রাদেশিকতা হয় তবে উনি তাই ছিলেন। ২রা অগাস্ট, এই মহাপুরুষের জন্মদিন, জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।
১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ২রা অগাস্ট কপোতাক্ষ নদী তীরে রারুলি গ্রামে জন্মেছিলেন এই অসাধারণ কর্মবীর, চির রুগ্ন মানুষটি। তাঁর গ্রামের অদূরে সাগরদাঁড়িতে জন্মেছিলেন আর এক দিকপাল – মধুসূদন।
প্রফুল্ল চন্দ্রের পূর্ব পুরুষরা সুলতান জাহাঙ্গিরের আমলে রারুলিতে আসেন। তাঁর প্রপিতামহ মানিক লাল রায় প্রথমে কৃষ্ণ নগর ও পরে যশোর কালেক্টারেটের দেওয়ান হন। সেই সূত্রে তিনি বিশাল বিষয় সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন। প্রফুল্ল চন্দ্রের পিতামহ আনন্দ লাল যশোরের সেরেস্তাদার হন। তিনিও বিষয় সম্পত্তি আরও বাড়ান। বাবা হরিশ্চন্দ্রের আমলে আর্থিক অবস্থা বেশ পড়লেও প্রফুল্লচন্দ্র নিজের উদ্যোগে তা অনেকটাই ফিরে পান। প্রফুল্ল চন্দ্রের নিজের উপার্জনও কিছু কম ছিল না। কিন্তু ওনার রোজগারের সিংহ ভাগ উনি দান করতেন গরীবদের সেবায়। তাঁর দান শুধু ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে নি, সর্ব সাধারণের জন্যেও তা ছিল উন্মুক্ত।
প্রফুল্ল চন্দ্র আদতে ছিলেন একজন গবেষক বিজ্ঞানী। গবেষণার কাজ ছিল ওনার প্রাণের আরাম। কিন্তু দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর কর্তব্যে কোন ত্রুটি ছিল না। ১৯১৯ সালের কুখ্যাত রাওলাট আইনের প্রতিবাদে যে বিশাল সমাবেশ হয় তাতে ভাষণে বলেন যে, ‘গবেষণাগারের পরীক্ষা ছেড়ে প্রয়োজনে দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।‘ অসহযোগ আন্দোলনের সময় দেশবাসীকে ডেকে বলেছিলেন, ‘বিজ্ঞান চর্চা সাময়িক থেমে থাকতে পারে, কিন্তু স্বরাজ পারে না’।
প্রফুল্ল চন্দ্রের মানব প্রেম ছিল প্রবাদ প্রতিম। বিধ্বংসী বন্যাই হোক কিংবা দুর্ভিক্ষ, প্রফুল্ল চন্দ্র তাঁর স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে পৌঁছে যেতেন ত্রাণ কার্যে। তাঁর জীবন ছিল ব্যাস্ততায় ভরা। একদিকে তাঁর প্রিয় গবেষণাগার, অন্য দিকে দেশ ও দশের স্বার্থে নানান সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্ম কাণ্ডের ব্যস্ততা। নিজের ক্ষেত্র রসায়ন ছাড়াও আরও বিভিন্ন বিজ্ঞান ও নানা বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেছেন উনি। এ ছাড়াও আরও বহু বিষয়ে তিনি মাথা ঘামাতেন। কিন্তু এসবের মধ্যেও নিজের বাংলা মায়ের দুঃখিনী মুখ কে তিনি ভুলতে পারেননি। তাই তাঁর কাজে, কথায়, মন্তব্যে, সে ভালবাসা প্রকাশ হয়ে পড়তো। ১৯৩২ সালে টাউন হলে ওনার জন্ম দিন উপলক্ষে এক সম্বর্ধনা সভায় ওনাকে নানান সংস্থার তরফ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়। ইন্ডিয়ান মাইনিং ফেডারেসানের প্রতিনিধির বক্তব্যের উত্তরে উনি দেশের খনি শিল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন – ‘ যখন আফ্রিকার কয়লা ভারতের কোনও কোনও স্থানে সহজ বাজার পেয়ে যাচ্ছে , বাংলার কয়লা খনিগুলো অলস হয়ে বসে আছে, তা তাদের কয়লা কেনার লোক নেই।‘ তিনি আরও বলেন – ‘এটা দুঃখের বিষয় যে, খনি অঞ্চলগুলো পুরোপুরি বাংলা ভাষাভাষী এবং তারা মাতৃভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন‘। সময়টা দেখুন, ১৯৩২ সাল। স্বাধীনতা আন্দোলন চরমে। সারা বাংলা অগ্নিগর্ভ। অগ্নি যুগের বিপ্লবীরা সর্বস্ব বিলিয়ে দিচ্ছে দেশের স্বাধীনতার জন্য। তাদের অন্য কিছু ভাবার, দেখার ইচ্ছে বা সময় নেই। চ্যালেঞ্জ করে মারা হচ্ছে মেদিনীপুরের তিন ম্যাজিস্ট্রেটকে। পেডি, ডগলাস, বার্জ। ১৯৩২এ বোধ হয় বার্জের পালা।
প্রফুল্লচন্দ্রের স্বজাতি প্রীতির পরিচয় ওনার নানা মন্তব্যে পাওয়া যেত। হয়ত সেই কারণেই কোনো কোনো মহলে ওঁর কপালে প্রাদেশিকতার বদনাম জোটে। কিন্তু ওঁর নিখাদ স্বদেশ প্রেমে কোনও ঘাটতি ছিল না। তিনি যখন ছাত্র হিসাবে বিলাতে ছিলেন তখন এক প্রতিযোগিতায় ‘India before and after the mutiny’ নামে এক বহু চর্চিত এবং প্রশংসিত প্রবন্ধ লেখেন যার জন্য পরে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কুনজরে পড়েন ও তাঁর চাকরী ক্ষেত্রে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। স্বজাতিকে ভালবেসেও যে দেশকে ভালোবাসা যায় এবং স্বজাতি প্রীতি আর দেশপ্রীতির মধ্যে বস্তুত কোনও দ্বন্দ্ব নেই, তার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ হলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র।
‘ তিনি চাহিয়াছিলেন বাঙালি নিজের পায়ে দাঁড়াইতে শিখুক।ব্যবসা করুক।কল কারখানা করুক …’ ( মাসিক বসুমতী আষাঢ় ১৩৫১)
বাঙালি জাতীর মস্তিষ্কের অপব্যবহার দেখিয়া তিনি যৌবনকাল হইতেই মর্মাহত ছিলেন এবং ভারতবর্ষে বাঙালিকে প্রতিষ্ঠা দিবার জন্য পাগলের মত ছোটাছুটি করিয়া বেড়াইতেন ‘ – ( শনিবারের চিঠি – আষাঢ় ১৩৫১)। প্রফুল্লচন্দ্রের স্মৃতিতে প্রকাশিত এই দুই সম্পাদকীয় মন্তব্য থেকেই বোঝা যায় তাঁর বাঙালি হিতৈষী ছবিটি ওঁর আর সব কীর্তিকে ছাপিয়ে জনমানসে স্থান করে নিয়েছিল।
প্রফুল্লচন্দ্র যে দরের বৈজ্ঞানিক ছিলেন তাতে তিনি শুধু রসায়ন শাস্ত্রে তাঁর মৌলিক গবেষণার জন্যেই স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারতেন। অবশ্য স্মরণীয় হয়ে থাকার কোন মাথাব্যথা ওঁর ছিল না।
গৃহী সন্ন্যাসীর মতো সরল জীবন কাটান এই একা মানুষটির নিজস্ব প্রয়োজন ছিল খুবই অল্প। তাই সেই বাবদ খুব সামান্য কিছু রেখে বাকিটা বিলিয়ে দিতেন দান ধ্যানে। সরকারী চাকরী থেকে অবসর নেওয়ার পর সায়েন্স কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যক্ষ হয়ে কাজ করেন ১৫ বছর। একটিও টাকা নেন নি। শেষে ১৫ বছরের জমানো টাকা দিয়ে রসায়ন বিভাগে স্যার পী সি রায় ফেলোশিপ সৃষ্টি করা হয়। নিজের গবেষণার বাইরে উনি যা করেছেন তা কর্তব্যবোধ ও মানুষের প্রতি ভালবাসার টানে। আর এই বাংলার মানুষের প্রতি ওঁর ভালোবাসা ছিল একটু বিশেষ। এবং এই ভালোবাসা উনি কখনও লুকানোর চেষ্টা করেন নি। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তা প্রায়ই প্রকাশ হয়ে পড়ত। নলিনীকান্ত সরকারের একটি লেখায় এমনই একটি উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে। একদিন একটি সভায় উদ্বোধনী সঙ্গীত গাইবার ভার ছিল তাঁর ওপর আর সেই সভার সভাপতি ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র। কোন কারণে নলিনীকান্ত দেরি করে সভায় পৌঁছে দেখেন , সভাপতি প্রফুল্লচন্দ্র আগেই এসে মঞ্চে বসে আছেন। এরপর ওনাদের মধ্যে যে কথোপকথন হোয়েছিল তা নলিনীকান্তের ভাষায় তুলে দিলাম।–
‘ আমি কাছে যেতেই তিনি বললেন , ‘দেরি করলি যে?’ আমি বিলম্বের কারণ জানালাম। তিনি বললেন, ‘তুই বুঝি বাসেই যাতায়াত করিস?’
‘বাসেও চলি, ট্রামেও চলি’
‘আচ্ছা বলতো যতগুলো বাসে চড়েছিস তারমধ্যে ক’খানা বাঙালির আর ক’খানা অবাঙালির? আর সে সব বাস যারা চালায়, যারা টিকিট বিক্রি করে, তাদেরই বা বাঙালির হার কত?’
আমি বললাম, ‘তা আমি কি করে বলব? তবে এটা ঠিক যে, বাঙালির হার খুবই কম। অধিকাংশ বাস অবাঙালির। বাসের ভিতরেই মালিকের নাম লেখা থাকে। আর সে সব বাসের চালক টিকিট বিক্রেতারা প্রায় একশো জনই অবাঙালি।‘
আচার্যদেব একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেললেন। বললেন , ‘বাংলা ক্রমে ক্রমে চলে যাচ্ছে অবাঙালি হাতে। আর এদিকে তোরা ভারত স্বাধীন করার জন্য অন্ধের মতো বোমা, রিভলভার ছুঁড়ছিস !’
‘অন্ধের মতো’ কথাটা খেয়াল করুন। আমি যখন প্রথম এই লেখাটা পড়ি চমকে উঠি। বিস্ময়ে, আনন্দে। বিশ্বপ্রেমিক বাঙালিদের মাঝে এ কোন বিবেক! বাঙালির রক্তের কোন বিশেষ গুণে তারা সবাই বিশ্ব মানব হয়েই জন্মায়। ভারতের আর কোন প্রদেশের মানুষ এইভাবে দুইহাতে বিজাতীয় সংস্কৃতি গ্রহণ করে না। এই মানসিকতা বাঙালি কে এক বিশেষ মর্যাদার আসনে বসালেও, বেলাগাম এই বিশ্বপ্রেম যে বাঙালির ক্ষতি করেছে তা মনে মনে বাঙালি বুঝলেও স্বীকার করেনি কখনোই। প্রফুল্লচন্দ্রের মতো একজন বিশ্ববরেণ্য বাঙালি যখন বিশ্বপুরুষ হওয়ার প্রলোভন ত্যাগ করে এই সরল সত্যটা নির্দ্বিধায় বলে দেন, অবাক হতে হয় বৈকি। কিছু দিন আগে ডঃ তমাল দাশগুপ্তের একটি লেখায় পড়লাম ‘একটি তিব্বতি গ্রন্থ থেকে পাওয়া এক আশ্চর্য পংক্তি – “ সম্রাট দেবপাল সমস্ত বাঙালি জাতিকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।“ । বাঙালি জাতির আধুনিক ইতিহাসে কেউ বলেছেন কি এমন কথা? বরং উলটোটাই তো শুনি। বাঙালি নাকি মানুষ নয়, তাই , “রেখেছ বাঙালি করে ………” । তাই বুঝি আচার্যের কথাগুলো আমাদের এতো বিস্মিত করে। এমন নয় যে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র বাঙালি প্রেমে অন্ধ হয়ে তার ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো দেখতে পেতেন না। ‘বাঙালি মস্তিষ্ক ও তার অপব্যবহার‘ নামে একটি আস্ত বইই লিখে ফেলেছিলেন। প্রাফুল্লচন্দ্র এই সুজলা সুফলা বাংলাকে ভালবাসতেন। ভালবাসতেন এর মানুষ জনকে তার সমস্ত ভালোমন্দ সমেত। তাই তিনি বলতে পারেন –
‘ আমি বাঙালি চরিত্র বিশ্লেষণ করিয়া তাহার দোষ- ত্রুটি দেখাইতে দ্বিধা করি নাই। অস্ত্র চিকিৎসকের মতই আমি তাহার দেহে ছুরি চালাইয়াছি এবং ব্যাধিগ্রস্ত অংশ দূর করিয়া তাহাতে ঔষধ প্রয়োগ করিতে চেষ্টা করিয়াছি। কিন্তু বাঙালি আমারি স্বজাতি এবং তাহাদের দোষত্রুটির আমিও অংশভাগী। তাহাদের যেসব গুণ আছে, তাহার জন্যও আমি গর্বিত, সুতরাং বাঙালিদের দোষ-কীর্তন করিবার অধিকার আমার আছে। ‘
ওনার সারা জীবন কেটেছে বাঙালির ভালো মন্দের চিন্তায়। কঠোর ভাষায় বাঙালির সমালোচনা করেছেন উনি। কিন্তু তারপরেও বলেছেন – “…The Bengali has got many noble qualities and I am proud of my nationality and I glory in being a Bengali” । বাঙ্গালির চাকরিমুখী মনোভাব তাঁকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করত। তাঁর কথায় – “….কলেজ পাস বাঙালি যখন অসহায়ভাবে চাকরী খোঁজে, সেই অবসরে কর্মকুশল , পরিশ্রমী অবাঙালিরা কেবল কলকাতায় নয়, বাংলার অভ্যন্তরে সুদূর গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছিল……”। সেই চিন্তা থেকেই এক সময়ে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের মাস মাইনে থেকে জমান কয়েক শ টাকায় গড়ে তুলেছিলেন বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফারমাসিউটিকাল-এর মতো সংস্থান। বেঙ্গল কেমিক্যাল ছাড়াও উনি আরও অনেক বাঙ্গালি উদ্যোগের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন।
বাঙালির অসহায় অবস্থার জন্য তিনি বাঙালির বিশ্বপ্রেমকেই সরাসরি দায়ী করেছেন। তাঁর কথায় – “… আমরা মার পেট থেকে পড়েই ইন্টারন্যাশানাল বা আন্তর্জাতিকবাদী হই। তার ফলে পরিবার, সমাজ্, দেশ সব যায় রসাতলে। কিন্তু প্রকৃতি তো শুন্য ঠাই বরদাস্ত করে না। আমাদের ফেলে যাওয়া জায়গায় অন্যেরা ঢুকে পড়ছে। আর আমরা হয়েছি কেরানি, আর স্কুল মাস্টারের জাত। তাও জুটলে, না জুটলে বেকার।“
আজ আচার্যের জন্মদিনের শুভ অবসরে আসুন তাঁকে স্মরণ করি। বাঙালির এই বিপন্ন, ছন্নছাড়া সময়ে তাঁকে আরও ভালভাবে বুঝি। আনুসরণ করি। তাঁর বলা প্রতিটি কথা বাঙালির জন্য বহুমুল্যবান। আসুন তার সদ্ব্যবহার করি।